২৮ বছরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ। তিনি গতকাল মঙ্গলবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।




 মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদা পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিলেন ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছেন প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।



মন্ত্রী আরও বলেন, ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। আর মাদ্রাসা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।



অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। 



প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়।



নারী উন্নয়নে এখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল—এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়, তাই কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ছিল সময়োচিত, সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ। মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময় ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪ জেলায় দুস্থ নারীদের মধ্যে ৪ হাজার সেলাই মেশিন ও ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রায় ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

टिप्पणियाँ

इस ब्लॉग से लोकप्रिय पोस्ट

SAMSUNG 980 SSD 1TB

How to Take a Screenshot on a Mac

Apple Insider Confirms New iPhone 14 Pro Release Shock